
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
ফেনীতে চাঁদাবাজি, ঠিকাদারদের থেকে কমিশন গ্রহণ এবং দলীয় কোন্দল নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ এয়াকুব নবী ভূঁইয়া। বুধবার (০১ অক্টোবর, ২০২৫) প্রকাশিত ‘নিজামের ঘাটলা এখন ফেনী বিএনপির ঘরে ঘরে’ শিরোনামের সংবাদটিকে তিনি ‘অসত্য, অবান্তর ও বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে এয়াকুব নবী ভূঁইয়া দাবি করেন, প্রকাশিত সংবাদে তাকে জড়িয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার ভাষ্যমতে, ফেনী পৌরসভা থেকে তিনি পহেলা জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত এক বছরের জন্য মহিপাল বাস টার্মিনাল বৈধভাবে ইজারা নিয়েছেন। ইজারার শর্তানুযায়ী, তিনি পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত হারে বাস থেকে ৫০ টাকা এবং অটোরিকশা থেকে ১০ টাকা টোল আদায় করেন। এর বাইরে অন্য কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহিপাল টার্মিনালকেন্দ্রিক বিভিন্ন মালিক ও শ্রমিক সমিতি তাদের নিজস্ব চাঁদা আদায় করে থাকে, যার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আন্তঃজেলা মালিক সমিতি, যাত্রী সেবা মালিক সমিতি, সুগন্ধা মালিক সমিতি, ফেনী-বসুরহাট মালিক সমিতি, যমুনা মালিক সমিতি এবং খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতির নাম উল্লেখ করে বলেন, এসব সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকেরাই তাদের লোক দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, এই চাঁদাবাজিতে তার বা তার কোনো লোকের সম্পৃক্ততা কেউ প্রমাণ করতে পারলে তিনি তা মেনে নেবেন।
ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন নেওয়ার অভিযোগটিও তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কোনো ঠিকাদারের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছেন—এমন কোনো প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারলে তার বিরুদ্ধে যেকোনো আইনগত ব্যবস্থা তিনি মাথা পেতে নেবেন। তার মতে, এ ধরনের ‘হলুদ সাংবাদিকতার’ মাধ্যমে বিএনপিকে ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ সম্মুখীন করা হচ্ছে।
সংবাদে রফিকুল আলম মজনুকে ‘ফেনীর বড় মুরুব্বি’ হিসেবে উল্লেখ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ফেনীতে কোনো ‘বড় বা ছোট মুরুব্বি’ নেই, সবাই রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। তিনি জানান, রফিকুল আলম মজনু তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। যখন তিনি ফেনী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন, তখন রফিকুল আলম মজনু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
দলে ‘ছোট গ্রুপ’ নিয়ন্ত্রণের অভিযোগও অস্বীকার করে এয়াকুব নবী ভূঁইয়া বলেন, “আমি কোনো গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করি না। আমাদের সকলের একটাই গ্রুপ—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি।”
সবশেষে তিনি তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদকে অসত্য দাবি করে এর প্রতিবাদ জানান এবং এই প্রতিবাদটি সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় ছাপানোর জন্য অনুরোধ করেন। অন্যথায়, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।