
মোহাম্মদ আবু দারদা, ফেনী।
ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভায় পারিবারিক কলহের জেরে মো. আলমগীর (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী খালেদাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকালে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গফুর ভান্ডারী বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আলমগীরের সঙ্গে ২০০২ সালে পারিবারিকভাবে খালেদার বিয়ে হয়। এটি ছিল আলমগীরের দ্বিতীয় বিয়ে; এর আগের সংসারটি বিচ্ছেদে গড়ায়। এই দম্পতির ১৭ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। পুলিশকে দেওয়া প্রাথমিক তথ্যে খালেদা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে তাঁর স্বামী তৃতীয়বার বিয়ে করার পর থেকে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। স্বামী আলমগীর সংসারের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন এবং তাঁর ওপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। দীর্ঘদিনের জমা করা ক্ষোভ ও নির্যাতনের একপর্যায়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং খালেদাকে আটক করে। এলাকাবাসী জানায়, সকালে তাঁদের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে আলমগীরের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এবং পুলিশে খবর দেন।
এ ঘটনায় দাগনভূঞা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আটক খালেদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল কারণ ও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।