
মোহাম্মদ আবু দারদা, ফেনী।
ফেনী জেলার ফেনী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের চোরাই পেট্রোলসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকেল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মধ্যম রামপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযানে চোরাই পেট্রোল পরিবহনে ব্যবহৃত একটি তেলের ট্যাংকারও জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে, একটি চক্র তেলের ট্যাংকার ব্যবহার করে অবৈধভাবে সংগ্রহ করা চোরাই পেট্রোল পাচার করছে। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর একটি অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। এসময় চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লার দিকে যাওয়া একটি সন্দেহজনক লাল রঙের তেলের ট্যাংকারকে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। সংকেত পেয়ে ট্যাংকারটি থামিয়ে দুজন ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন চাঁদপুর সদর থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোকসেদ আলী খাঁনের ছেলে মোঃ শহিদুল্লাহ খান (৫৭) এবং কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার এ্যাবদারপুর গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেন লিটনের ছেলে মোঃ সৈয়কত হাসান (১৯)। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে ট্যাংকারটি তল্লাশি করে প্রায় ১৩,০০০ লিটার চোরাই পেট্রোল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেছেন যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন জাহাজ ও জ্বালানি বহনকারী লরি থেকে সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অকটেন, ডিজেল এবং পেট্রোল সংগ্রহ করে। এরপর সেই জ্বালানি তেল অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত মোঃ শহিদুল্লাহ খান ও মোঃ সৈয়কত হাসান এবং জব্দকৃত চোরাই পেট্রোল ও ট্যাংকারটির বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের ফেনী সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।