ফেনীতে সিজারের সাত মাস পর পেট থেকে গজ উদ্ধার

মোহাম্মদ আবু দারদা, ফেনী।

ফেনীতে আল কেমি হাসপাতালে সিজার অপারেশনের প্রায় সাত মাস পর ফরিদা ইয়াসমিন নামের এক প্রসূতির পেট থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক ফুট লম্বা একটি গজ কাপড় বের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে শহরের আল বারাকা হাসপাতালে দ্বিতীয়বারের অস্ত্রোপচারে গজটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার প্রথম অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

​ভুক্তভোগী ফরিদা ইয়াসমিনের (৪০) পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে তিনি প্রসবজনিত কারণে ফেনীর আল কেমি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ডা. তাসলিমা আক্তারের অধীনে তাঁর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও ফরিদা ইয়াসমিনের পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয়, যা সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে তিনি বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করলেও কোনো সুফল পাননি।

​সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত পরীক্ষার শরণাপন্ন হন তিনি। বিভিন্ন পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁর পেটের ভেতর একটি শক্ত বস্তুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে বৃহস্পতিবার ফেনীর আল বারাকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. আজিজ উল্যাহর নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফরিদা ইয়াসমিনের পেট থেকে প্রায় এক ফুট লম্বা গজ কাপড়টি বের করে আনে।

​এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, আল কেমি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তাসলিমা আক্তারের চরম অবহেলার কারণেই ফরিদা ইয়াসমিনকে গত সাত মাস ধরে দুঃসহ শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

এ রকম আরো সংবাদ

আমাদের সাথে থাকুন

0FansLike
0SubscribersSubscribe

সর্বশেষ সংবাদ