
আলিফ মাহমুদ কায়সার, কুমিল্লা।।
কুমিল্লার চান্দিনায় বসতঘরে চুরির সময় দুই ব্যক্তিকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। তবে তাদেরকে থানা হেফাজতে না নিয়ে ঘটনাস্থলেই ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ বলছে, গণপিটুনিতে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় আটক দুই ব্যক্তিকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দিনগত রাতে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের বসতঘরে চুরি করতে ঢুকে জাকির হোসেন ও হানিফ। এ সময় গৃহকর্তা টের পেয়ে জাকিরকে ধরে ফেললেও হানিফ পালিয়ে যান। পরে জাকিরকে গণপিটুনি দিলে তার দেওয়া তথ্যমতে হানিফকেও খুঁজে বের করে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা।
জাকির হোসেন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নে ইন্দ্রারচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বসন্তপুর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরজামাই থাকেন এবং সেখানে একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র তৈরি করেন। তার সহযোগী হানিফ বসন্তপুর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় গরু চুরি, বসতঘরে চুরির যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন বসন্তপুর গ্রামবাসী। সোমবার মধ্যরাতে ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে চোর চক্র। তাদেরকে আটক করে গণপিটুনি দিলে এলাকার প্রায় সব চুরির কথা স্বীকার করেন তারা।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু আটক দুই ব্যক্তি গুরুতর জখম হওয়ায় তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন জানান, আটক দুজনকে এলাকাবাসী পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। যে কারণে তাদেরকে থানায় না এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
গল্লাই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনিছুর রহমান মিন্টু জানান, দুজন সুস্থ হলে আমরা বিষয়টি সমাধান করব।
চান্দিনা থানার ওসি জাবেদ উল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। নিজেরা আপস করে ফেলেছেন। সেজন্য গুরুতর আহত দুজনকে থানায় নিয়ে আসেনি পুলিশ।