প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

জসীম উদ্দিন ইতি,,ঠাকুরগাঁও।।

 

গত ৭ সেপ্টম্বর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘কোটি টাকা মালিক আউটসোর্সিং কর্মচারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে,

শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন,হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের কার্য-সহকারী মোঃ মাসুদ পারভেজ।

এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেছেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ভেতরের সাজসজ্জা ও নির্মাণশৈলী এতটাই ব্যয়বহুল। এইসব বাড়ি নিমার্ণের অর্থ আমার শুশুর আমাকে করে দিয়েছেন। তাই আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

উল্লেখিত খবরে বলা হয় যে, ‘অফিস কার্যালয়ের কার্য-সহকারী মাসুদ পারভেজ সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অনুমোদনের কাজে নিয়মিত ঘুষ গ্রহণ করেন, সেটি সম্পূর্ণ জাল ও ভুয়া। উক্ত নিউজ পোর্টালে কার কাছে ঘুষ গ্রহণ করেছি তার সঠিক প্রমাণ ও নাম দিতে পারেনি প্রতিবেদক। তাছাড়া কোনো প্রকল্প বিলে আমার সাক্ষর বা সই গ্রহণ করা হয় না।

তাই আমার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের যে অভিযোগ করা হয়েছে আমার কর্মস্থলের সহকারীদের সাথে কথা বললেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যেতো।

হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের কর্মকর্তা,কর্মচারীসহ আশপাশের অফিসের লোকজন জানিয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও এ ধরণের লেনদেন বা তাদেরকে কোনো টাকা কার্যাদেশ দেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তারা বিষয়টি জানেনই না।

তাছাড়া প্রকাশিত নিউজের মধ্যে যে কার্যাদেশের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে যে বিমানের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি আমার। অফিস আদের্শে জরুরী কাজে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া হয়।একটি পক্ষ নিজেরাই এমন বাড়ির ছবি এডিট করে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে। আমি এতে সামাজিক, মানষিক ও দাফতরিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনলাইন পত্রিকাটিকে বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করছি। এক বক্তব্যে উক্ত অফিসের কর্মচারী মাসুদ পারভেজ সুনামের সহিত দপ্তরিক কাজ পরিচালনা করে আসছেন।

জনবল কম হওয়ার কারণে হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আউটসোর্সিং কর্মচারী রয়েছে কয়েকজন এবং তাদের মধ্যে মাসুদ পারভেজ সু-নাম হিসাবে কাজ করছেন।

বিগত ৭ সেপ্টম্বর একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে মাসুদ পারভেজের এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল তার ব্যক্তিগত দুর্নীতির প্রতিফলন নয়, বরং পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর আঘাত হানছে,

উক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কে বা কারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য সাংবাদে ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়া এই ধরনের অভিযোগের সমাধান সম্ভব নয়। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত,।

গতকাল সরেজমিনে ঔষুধ দোকানদার ইউসুব, প্রতিবেশী ইসরাউদ্দীন, ও জামে মসজিদের সাবেক ঈমাম আবু আযম বলেন, ইতিপূর্বে এই এলাকায় কোনো সাংবাদিক আসেনি এবং তারা কারো কছে সাক্ষাতকার গ্রহণ করেনি। মাসুদ পারভেজের বাবা এবং শুশুরের অর্থ রয়েছে আগে থেকেই।

মাসুদ পারভেজ আরো বলেন, বাসাটির কাজ করানোর জন্য আমার বাবা প্রায় তিন বিঘা জমি বিক্রি করে আমাকে দিয়েছে। আমার শ্বশুরের কোন ছেলে মেয়ে নেই,শুধু আমার স্ত্রী।

শশুর জমি কিনে দিয়েছে বাসা বাড়ি করার জন্য। এবং বাসাটির উপর কয়েকটি ব্যাংক থেকে আমার লোন নেওয়া আছে, যাহার প্রমাণ আমার কাছে আছে।

অফিসিয়ালি ভাবে কেউ বলতে পারবে না, মাসুদ টাকা কারো কাছে ঘুষ চেয়েছে বা ঘুষ খেয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।

হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা বলেন,তারা সুপরিচিত সাধারণ কর্মচারীকে অসত্য মিথ্যা ঘটনা সমর্থন করতে পারেন না বিদায় উল্লেখিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

প্রতিবাদকারী

হরিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের

কার্য-সহকারী মোঃ মাসুদ পারভেজ।

হরিপুর,ঠাকুরগাঁও

এ রকম আরো সংবাদ

আমাদের সাথে থাকুন

0FansLike
0SubscribersSubscribe

সর্বশেষ সংবাদ